Monday, January 10, 2011

আতঙ্কে শেয়ারবাজার বন্ধ

আতঙ্কে শেয়ারবাজার বন্ধঅব্যাহত মূল্যধসে সারা দেশে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, আগুন শেয়ারবাজারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গতকাল সোমবার দেশের       
দুই স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। 
টানা কয়েক 
দিনের ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে না পেরে ১১টা ৫০ মিনিটে সাময়িক
লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
তবে এর আগেই মাত্র ৫০ মিনিটে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সূচক কমে
৬৩৫ পয়েন্ট। অনেকের ধারণা, গতকাল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি লেনদেন 
বন্ধ না করলে পতনের ভয়াবহতা হতো অনেক বেশি। অবশ্য দিন শেষে 
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার লেনদেন 
শুরুর ঘোষণা দেয় এসইসি। 
গত ছয় দিনের টানা দরপতনে সূচক মোট কমেছে প্রায় ১৮০০ পয়েন্ট। তবে গতকাল লেনদেন বন্ধের পর থেকে বাজার উত্তরণে এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের নেতারা পৃথক বৈঠক করেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে এসইসি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

গতকাল লেনদেন বন্ধের পরপরই রাজধানীসহ সারা দেশের লাখ লাখ বিনিয়োগকারী রাস্তায় নেমে আসে। ঢাকায় বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঘটে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। রাজধানীর পল্টন থেকে শুরু করে বিক্ষোভ দৈনিক বাংলা, মতিঝিলসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, লাঠিপেটা ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকা এসব ঘটনায় রাজধানীতে চারজন সাংবাদিকসহ একাধিক সাধারণ বিনিয়োগকারী আহত হন। আটক করা হয় ৯ জনকে। 
দিন শেষে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসইসি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার জানান, অস্বাভাবিক দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে লেনদেন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। মাত্র আধা ঘণ্টায় সূচক ৬০০ পয়েন্ট পড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম হলেও পৃথিবীর অনেক দেশেই লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নজির রয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে আবারও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় লেনদেন হবে।’
গতকাল শুরুতেই প্রায় সব কম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি ঘটে। তবে তার ¯দায়িত্ব ছিল মিনিট পাঁচেক। এ সময় আগের পাঁচ দিনের অব্যাহত ভয়াবহ দরপতনে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে দিতে থাকে। ফলে ৫০ মিনিটের মধ্যেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বা প্রায় ৬৬০ পয়েন্ট নেমে যায়। যদিও দিন শেষে সমন্বয়ের পর সূচক ৬৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৪৯৯-তে। 
গতকাল একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক প্রায় ৭ শতাংশ বা প্রায় ৯১৪ পয়েন্ট নেমে যায়। এ সময়কালে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৩টি প্রতিষ্ঠানের ২১৯টিরই ব্যাপক দরপতন ঘটে। এ অবস্থাায় পুঁজিবাজারে আরো বড় ধরনের ধস ঠেকাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় এসইসি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো বাজার চলাকালে লেনদেন বন্ধের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভ, ভাঙচুর : লেনদেন বন্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে একদল বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে দৈনিক বাংলা মোড়মুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সময়ে মতিঝিলের ডিএসই ভবন ও এর আশপাশে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় মতিঝিল এলাকায় চারটি প্রাইভেট কারও ভাঙচুর করা হয়। ফলে ইত্তেফাক মোড় থেকে শুর“ করে শাপলা চত্বর পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তার দুই পাশের বিভিন্ন ভবনে আটকে পড়ে। এ সময় মতিঝিলের বিভিন্ন গলিমুখ ও মধুমিতা ভবন থেকে বিনিয়োগকারীরা পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা ইট নিক্ষেপ করে। বিনিয়োগকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করে তারা। ১২টার দিকে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিপেটায় চারজন সাংবাদিক আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত আমাদের অর্থনীতির মাসুদ ও শীর্ষ নিউজের মর্তুজাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে বিক্ষিপ্ত এসব সংঘর্ষকালে ৯ বিনিয়োগকারীকে আটক করা হয়। দিন শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বর পর্যন্ত কোনো পুলিশি পাহারা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছামতো বিক্ষোভ দেখায়। জীবন বীমা টাওয়ারে অবস্থিত এসইসি ভবনের উদ্দেশে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। এখানে দুপুর সোয়া ১টার দিকে সিটিবাস নামের যাত্রীবাহী একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। জনতা ব্যাংক ভবনের মোড়ে বিনিয়োগকারীরা জনসভার জন্য নির্মিত একটি মঞ্চের বাঁশ জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে হাত-মাইকে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ভবন থেকে নেমে বাড়ি ফিরে যায়। এরপর পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসে।
অর্থমন্ত্রী ও ডিএসইর সভাপতির পদত্যাগ দাবি : ধারাবাহিক দরপতনের জন্য বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের তীর ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে। গতকাল সে ক্ষোভ পড়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর ওপর। মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে বিনিয়োগকারীরা মাঝেমধ্যে এ দুজনের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়। মধুমিতা ভবন থেকে হাতে লেখা ছোট একটি চিরকুট ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে অর্থমন্ত্রী ও ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
ঢাকার বাইরেও বিক্ষোভ, ভাঙচুর 
পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত থাকায় গতকাল ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন ¯স্থানে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। সিলেটে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীতে বিনিয়োগকারীরা ১০টি ব্রোকারেজ হাউসে তালা লাগিয়ে দেয়। চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীরা বাজারে ধসের জন্য এমএলএম ব্যবসা, বুকবিল্ডিং মেথডের মাধ্যমে কিছু কম্পানির সুবিধা গ্রহণ এবং এসইসির ব্যর্থতাকে দায়ী করে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে। বরিশাল ও রংপুরেও বিক্ষোভ হয়েছে। কুমিল্লায় বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৯ জনকে আটক করে। নোয়াখালীতে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম : গতকাল পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধসের কারণে লেনদেন বন্ধ হওয়ার পরপরই বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। নগরীর আগ্রাবাদ, প্রেসক্লাব চত্বর, চকবাজার, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। পরে বিনিয়োগকারীদের একটি দল ১০ দফা দাবি নিয়ে সিএসইতে স্মারকলিপি দেয়।
গতকাল সকালে লেনদেন শুর“ হওয়ার ৫০ মিনিটের মধ্যেই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৩৯৬ পয়েন্ট পড়ে যায়। ভয়াবহ ধসের আশঙ্কায় এর পরই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সিদ্ধান্তে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরপরই ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলে।
গতকাল ৫০ মিনিটের লেনদেনে সিএসইতে ১৫৬টি কম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল সাতটির। দাম কমেছে ১৪৭টি কম্পানির শেয়ারের। এ সময় লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৪ কোটি টাকার শেয়ার। এই অল্প কয়েক মিনিটের লেনদেনেই সিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কমে যায়।
সিএসইর প্রধান নির্বাহী ড. আবদুল্লাহ মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের দাবি এসইসিতে পাঠিয়ে দেব। ধসের জন্য কারা দায়ী সেটা বলতে পারছি না। তবে বাজারে অর্থের জোগান কমে গেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে।’
সিলেট : বিনিয়োগকারীরা ¯স্থানীয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অফিসের সামনের প্লাস্টিকের নেমপ্লেট ভেঙে ফেলে। তারা মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের গ্লাস ভাঙচুর করে। দিনের প্রথম এক ঘণ্টা লেনদেনের পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কেন্দ্রীয়ভাবে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরই বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। তারা চৌহাট্টায় আরএন টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ডিএসইর কার্যালয়ের নেমপ্লেট ভেঙে ফেলে। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে তালতলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা সেখান থেকে ফিরে এসে ডিএসইর কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করে। 
বরিশাল : পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউসের বিনিয়োগকারীরা গতকাল সকাল ১১টার দিকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বিক্ষোভ করে। পরে সদর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে এসে তারা জড়ো হয়। সেখান থেকে মিছিল করে কিছু দূর এগোলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
রাজশাহী : শেয়ার লেনদেন বন্ধ রেখে নগরীতে দিনভর ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তারা সাহেববাজার এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখান থেকে তারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ দাবি করে। এর আগে তারা নগরীর ১০টি ব্রোকারেজ হাউসে তালা লাগিয়ে দেয়। ভাঙচুরের আশঙ্কায় সব ব্রোকারেজ হাউসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
রংপুর : অব্যাহত দরপতন এবং ঢাকায় আটক বিনিয়োগকারীদের মুক্তির দাবিতে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। সমাবেশে তারা ঘোষণা দিয়েছে, শেয়ারবাজারে এভাবে দরপতন চলতে থাকলে তারা বিনিয়োগ বন্ধ করে দেবে। সকালে ¯স্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস শ্যামল ইক্যুইটির সামনে জমায়েত হয়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরী প্রদক্ষিণ করে বিনিয়োগকারীরা। এরপর প্রেসক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। 
কুমিল্লা ও নোয়াখালী : গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা শহরের ৯টি ব্রোকারেজ হাউসের কয়েক শ বিনিয়োগকারী লেনদেন বন্ধ করে কান্দিরপাড়ে বিক্ষোভ এবং পূবালী চত্বরে অবস্থাান নেয়। তারা কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কাছে তাদের ক্ষোভ জানায়। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এ সময় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
নোয়াখালীতে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মাইজদী ও জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বিনিয়োগকারীরা। এ সময় নোয়াখালী-ফেনী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
ময়মনসিংহ : দুপুর ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। বিক্ষোভ চলাকালে শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

No comments:

Post a Comment

Total Pageviews